ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় অপহরণকারীদের কবল থেকে ৩ ছাত্র উদ্ধার

ছবিতে অপহরণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা ৩ ছাত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া ::  কুতুবদিয়ায় ৩ স্কুল ছাত্র অপহরণ করে পাচার করার সময় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘঠেছে গত ১৯ সেপ্টম্বর (বুধবার) বিকাল ৪টার সময় উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের হকদার পাড়া এলাকায়।তবে গ্রাম্য আদালতে বিচার মিমাংসা করার কথা বলে অপহৃত ছাত্রের অভিভাবকদের থানায় অভিযোগ দিতে দেয়নি প্রভাবশালী মহল।

প্রত্যক্ষদশী অপহৃতের পিতা আব্দুল মালেক জানান, গত ১৯ সেপ্টম্বর বুধবার বিকাল ৪টার সময় হকদার পাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের শিশু পুত্র আল আমিন কিন্ডার গাটেন স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র সায়েদ সালমান সজিব(৮) একই এলাকার ফরিদ আলমের পুত্র কুতুব আউলিয়া কিন্ডার গাটেন স্কুলের ৪থ শ্রেণীর ছাত্র মো:- ফাহিম (১১),আব্দু শুক্কুরের পুত্র একই স্কুলের কেজির ছাত্র মো: রাকিব(৭) সমুদ্র সৈকতে খেলাধুলা করছিল। এ সময় একই এলাকার পাচারকারী দলের সদস্য শাহাব উদ্দিনের পুত্র মো: ফাহিম (১৭), বদি আলমের পুত্র এমরান (২০) ৩ স্কুল ছাত্রকে ৫০ টাকা করে দিয়ে কাজের কথা বলে তাবালর চরের দক্ষিণ দিকে খুদিয়ারটেক এলাকায় ঝাউ বাগানে নিয়ে যায়।

ঝাউ বাগানে নিয়ে গিয়ে  ৩ ছাত্রের হাত-পা বেঁধে মুখে প্লাস্টার দিয়ে আটকে দেয়। রাত ৮টার সময় অপহিত স্কুল ছাত্র সায়েদ সালমান সজিব কৌশলে দাঁত দিয়ে মুখের প্লাস্টার ছিঁেড় পেলে চিৎকার দিলে একজেলে ও স্থানীয় লোক জন এগিয়ে এসে অপহিতদের হাত-পা বাঁধা অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। এ সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে অপহতি স্কুল ছাত্র সায়েদ সালমান বলেন, হকদার পাড়া এলাকার অপহরণকারী ফাহিম ও এমরান সমুদ্র সৈকত থেকে আমাদের কাজের কথা বলে ৫০ টাকা দিয়ে তাবলরচর নিয়ে যায়। ওখানে ঝাউবাগানে নিয়ে আমাদের হাত-পা বেধেঁ মুখে প্লাস্টার দিয়ে বেধেঁ রাখে। আমি প্রাইভেট পড়তে যাব আমাদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তারা আমাদের মারধর করে বলেন আর প্রাইভেট পড়তে হবে না, তোদের মেয়াদ শেষ বলে আটক করে রাখে।

এ ব্যাপারে অপহিত অপর ছাত্র ফাহিম বলেন, অপহরণকারী এমরান মোবাইল ফোনে অন্যজনকে বলছে মাল তিন্না পাইয়ি তোরা তারাতারি আয়। অপহিত রাকিব বলেন, অপহরণকারীরা আমাদের ছেড়ে দিতে বললে তারা আমাদের মারধর করতে থাকে এক পযায়ে ধমকিয়ে বলেন, তোদের বোটে তুলে দিতে ১০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছি আধা ঘন্টা পরে বোটে তুলে দিলে আরও ৫০ হাজার টাকা পাবো।

এ ব্যাপারে অপহিত স্কুল ছাত্র ফাহিমের পিতা ফরিদ আলম জানায়, অপহরণকারী ২জনই এলাকার চিহ্নিত খারাপলোক, এলাকায় তারা অনেক খারাপ কাজ করেছে। এ ঘটনার দায়ে অপহরণকারীর অভিভাবকদের জানালে তারা উল্টো আমাদের হাকাবকা, হুমকি দিয়ে বলেন, এ রকম ছোটখাট ঘটনায় কি হয় আমাদের জানা আছে, কলা ছুরিতে ফাঁসি হয় না। এ ব্যাপারে মালার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায়।

পাঠকের মতামত: